চট্টগ্রাম ওয়াসা থেকে পানি কিনে বিশুদ্ধ করার পর কার্ডের মাধ্যমে তা সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ড্রিংকিং ওয়েল ওয়াটার’।
নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ আগামী ১ জানুয়ারি থেকে আধুনিক এই পদ্ধতিতে পানি বিক্রির পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নগরীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত খুলশীর এক নম্বর সড়কের মুখে একটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে যে কেউ কার্ডের মাধ্যমে প্রতি লিটার পানি কিনতে পারবে মাত্র ৬০ পয়সায়।
এছাড়া, ওয়াসার প্রধান কার্যালয়ের সামনে, আগ্রাবাদ ওয়াসা অফিসের সামনে এবং বহদ্দারহাটে (ওয়াসা বোস্টারের সামনে) পরীক্ষামূলকভাবে বুথ স্থাপন করা হচ্ছে।
ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা হলেও, আগামী এক বছরের মধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আরো অন্তত ১০০টি বুথ স্থাপন করা হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এই পদ্ধতিতে পানি বিক্রি করা হচ্ছে। চট্টগ্রামে আমরাই কার্ডের মাধ্যমে পানি বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছি। ওয়াসার সহযোগিতায় মার্কিন প্রতিষ্ঠান ড্রিংকিং ওয়েল ওয়াটার ‘এটিএম’ নামের পাইলট প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।’
তিনি আরো জানান, ‘এটিএম বুথের জন্য জায়গা দিচ্ছি আমরা। পানি এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে ওয়াসা। বাণিজ্যিকভাবে পানি বিক্রি করবে ‘ড্রিংকিং ওয়েল ওয়াটার’। ফলে বিদ্যুৎ ও রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্যান্য খরচ বহন করবে ওই কোম্পানি।’
জানা যায়, পানির এই এটিএম বুথটি দেখতে হুবহু ব্যাংকের এটিএম বুথের মতো। সাজ-সজ্জাও অনেকটা সে রকম। তবে ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা বের হয়ে আসলেও, এখানে কার্ড দেয়ার পর পাইপ দিয়ে বের হয়ে আসবে বিশুদ্ধ পানি। কার্ড তুলে নিলে পানিও বন্ধ হয়ে যাবে। বিশাল বুথটির পেছনের অংশে পানি বিশুদ্ধ করার যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ড্রিঙ্ক অয়েলের এরিয়া ম্যানেজার মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম জানান, ‘ওয়াসা থেকে সরবরাহ করা পানি যতটা পরিষ্কার এবং বিশুদ্ধ তার চেয়ে তিনগুণ বিশুদ্ধ পানি বুথ থেকে পাওয়া যাবে।’
মঞ্জুরুল আলম আরো জানান, বুথে থাকা কোম্পানির প্রতিনিধির কাছে এটিএম কার্ড পাওয়া যাবে। রিচার্জেবল এই কার্ড দিয়ে সবসময় পানি পাওয়া যাবে। ব্যাংকের এটিএম কার্ডের মতো এই কার্ডেও থাকবে পাসওয়ার্ড।
জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, দুই কপি ছবি এবং ২০০ টাকা জমা দিয়ে গ্রাহকরা এই কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, কার্ডে ৫০ টাকা থেকে যেকোনো পরিমাণ টাকা রিচার্জ করা যাবে।